আপনি কি রাত্রে ভাত না খেয়ে রুটি খান..? তাহলে এটি পড়ুন না হলে পস্তাবেন!

আপনি কি রাত্রে ভাত না খেয়ে রুটি খান..? তাহলে এটি পড়ুন না হলে পস্তাবেন! 



আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রুটি খাদ্য তালিকার অন্যতম খাদ্য। উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা ইত্যাদি জায়গায় ভাত থেকে রুটিকে বেশি প্রাধন্য দেওয়া হয়। আমরা বাঙালিরাও রাত্রে আহারে ভাতের থেকে রুটি টাই বেশি পছন্দ করে থাকি।

 রাতে যদি খাবারের মেনুতে রুটি মাংস কিংবা গরম গরম রুটি তরকা হয় তো কথাই নেই। খাবারের মেনু পুরো জমে ক্ষীর।। মনে হয় অমৃতের স্বাদ গ্রহন করছি। কিন্তু এই রুটি আমাদের শরীরে কতটা প্রভাব ফেলে জানেন। প্রতিদিন রাতে রুটি খাওয়াটা কতটা উপকারী না অপকারী সেটা কি জানেন, যদি জেনে না থাকেন তো আসুন জেনে নেই।

 রুটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের খাবারের মধ্যে অন্যতম পুষ্টিকর খাদ্য, ভাতের পরেই। এই রুটি অর্থাৎ আটায় থাকে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান যা আমাদের হার্ট পর্যন্ত উন্নতি ঘটিয়ে হার্ট attack এর সম্ভাবনা কমিয়ে দেয় অনেকটাই। শরীরের একাধিক সমস্যার সমাধান করে শরীরকে ফিট রাখে। আটায় সব থেকে বড় বিষয় হল কোনো ফ্যাট থাকে না তাই রাতে রুটি খেলে নীচের উল্লিখিত পরিবর্তন ও উপকার সাধন হয়।



১. রুটিতে ক্যালোরির পরিমান খুবই কম, তাই রুটি খেলে শরীরের ওজনের বৃদ্ধি হয় না এবং শরীরকে ফিট রাখে। তাই রাতে ডিনারে রুটি রাখুন যারা নিজেদের ওজন বৃদ্ধি রুখতে চান।

 ২. রুটিতে যেহেতু ফ্যাট থাকে না তাই রুটি খেলে ফ্যাট অর্থাৎ চর্বির আধিক্য হওয়ার সম্ভাবনা কমে ও চর্বি কমাতেও সাহায্য করে।

 ৩. রুটিতে গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স নামক উপাদান কম থাকায় রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক রাখে এবং ডাইবেটিস রুগিদের ক্ষেত্রে যা ভীষন ভাব্দ উপকারের হয়। তাই রাতের মেনুতে রুটি রাখুন ডায়বেটিস রুগিরা।

 ৪. শরীর গঠনে যে সকল ভিটামিন ও খনিজের দরকার হয় তার সিংহভাগই থাকে রুটি তে তাই। রুটি খেলে সেগুলো আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

 ৫. রুটি খেলে রক্ত চাও নিয়ন্ত্রন, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের মতো মারাত্মক রোগের আশঙ্কা কমে যায়।

 ৬. রুটি তে থাক্স ফাইবার যা আমাদের শরীরের হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে বদ হজম, গ্যাস, অম্বল, বুক জ্বালার মতো শারিরীক সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।।


তাই আর দেরি নয় পালটে ফেলুন নিজের রাতের মেনু আর নিয়ে আসুন রুটি। আর সুস্থ জীবনের স্বাদ অনুভব করুন।

Post a Comment

0 Comments