মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায় আপনাদের জানা প্রয়োজন

মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু উপায় আপনাদের জানা প্রয়োজন

প্রথমে জানুন মাইগ্রেন কি ???
মাইগ্রেন এক বিশেষ ধরনের মাথা ব্যাথা। যা অল্প থেকে প্রচন্ড ব্যাথার আকার ধারন করতে পারে এবং মাথার এক স্থান থেকে পুরু স্থান দক্ষল করতে পারে। এতে মস্তিষ্কে আঘাত হানে। প্রচন্ড ব্যথার কারনে মস্তিষ্কে রক্ত প্রভাহ ব্যাগাত ঘটে। সাথে ভমি ভমি ভাব এবং ভমি হতে পারে। সাথে আবার দৃষ্টি সমস্যা।
ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস এন্ড হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক এম এস জহিরুল হক চৌধুরীর মতে সব মাথা ব্যাথাই মাইগ্রেন নয়। দৃষ্টিশক্তি সমস্যা,মাথায় সমস্যা এবং মস্তিষ্কে  টিউমারের কারনেও মাথা ব্যাথা হতে পারে। মাইগ্রেন হচ্ছে এক ধরনের প্রথমিক পর্যায়ের হেডেক, যা নিয়মিত করালে প্রতিরোধ করা সম্ভব। ভালো চিকিৎসকের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত চেকআপ করে এই রোগের চিকিৎসা করা উচিৎ। চোখের কোন সমস্যার জন্য মাইগ্রেনের ব্যাথা হয়না।
বয়স যখন ২০-৩০ এ পড়ে বেশির ভাগ লোকের তখন মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা যায়।
কারা এবং কেন এই রোগে বেশি ভোগেন:

পুরুষের ছেয়ে সাধারনত নারীরা এই রোগে বেশি ভোগেন। বেশির ভাগ নারীদের ঋতুস্রাবের সময় মাথা ব্যাথা বাড়ে। বিভিন্ন কারনে এই রোগ হতে পারে যেমনঃ-কফি, চকলেট বেশি খাওয়া, দীর্ঘ সময় টিভির সামনে থাকা, অনিদ্রা, দুশ্চিন্তা, মানষিক চাপ ইত্যাদির কারনে এই রোগ হতে পারে।
মাইগ্রেনের লক্ষন:
মাথা ব্যাথা ভমি ভমি ভাব এই রোগের প্রাধান লক্ষন। মাথা ব্যাথার মাত্রা এরকম হতে পারে এই ব্যাথা কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন প্রযন্ত স্থায়ী হতে পারে। তাছাড়াও কাজে অমনোযোগ, অতিরিক্ত হাই দেওয়া, বিরক্তিবোধ করা ইত্যাদি লক্ষন দেখা দিতে পারে। চোখের পিছনে ব্যাথার অনুভূতি জাগতে পারে। মাথার যেকোন অংশ থেকে শুরু করে পুরু মাথা ছড়িয়ে যেতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যতার কারনেও মাইগ্রেন হতে পারে।
মাইগ্রেনে আক্রান্ত রোগীদের খাবার দাবার…
  • আলু, বার্লি, ঢেকি ছাটা চাল ইত্যাদি মাইগ্রেন প্রতিরোধ করে।
  • রঙ্গিন শাক-সবজি খাওয়া এই রোগের জন্য ভালো।
  • ভিটামিন-ডি,ক্যালসিয়াম মাইগ্রেনের জন্য খুবই উপযোগী।
যে সব খাবার খাওয়া যাবেনা:
  • গমের দ্বারা অর্থৎ আটা ময়দা দিয়ে তৈরী যেকোন খাবার পরিহার করা।
  • আপেল, কলা, চিনা বাদাম ও পেয়াজ না খাওয়া।
  • চা, কফ্‌ কোমল পানীয়, চকলেট, দুধ, টক জাতীয় ফল না খাওয়া।
কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে এই রোগ থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাওয়া যায়…
  • অতিরিক্ত বা কম আলোতে কাজ না করা।
  • উচ্চ শব্দ বা কোলাহল পূন্য স্থানে বেশিক্ষন না থাকা।
  • প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঘুমানো এবং ঘুম থেকে উঠা।
  • কড়া রোধ বা তীব্র ঠান্ডা স্থান ত্যাগ করা।
  • প্রতিদিন ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানো।
  • মাইগ্রেন শুরু হলে বেশি করে পানি পান করা।
উপরোক্ত নির্দেশনা গুলো অনুশরন করলে মাইগ্রেন এর হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

Post a Comment

0 Comments